THE ULTIMATE GUIDE TO ব্যর্থ প্রেমের গল্প

The Ultimate Guide To ব্যর্থ প্রেমের গল্প

The Ultimate Guide To ব্যর্থ প্রেমের গল্প

Blog Article

আমার নানা বাড়িতে বিশাল লম্বা বারান্দায় এমাথা থেকে ওমাথা পাটি বিছিয়ে ছেলেরা খেতে বসতো একসাথে ২০ থেকে ২৫ জন। আমি বারান্দায় এসে দেখলাম বারান্দার ঠিক মাঝখানে বড় মামা আর ছোট মামার মাঝে বসে সে খাচ্ছে। আমি খুব সন্তর্পণে বাটিটা সামনে রাখতেই আবার সেই তীব্র দৃষ্টির আঘাতে জর্জরিত হলাম। বুকের ভিতর ড্রাম ঢোল তবলা একসাথে বেজে উঠলো। ঘুরে দাঁড়িয়ে যখন ছুট দিব সেই মুহূর্তে বড় মামার বজ্রকন্ঠের হুংকার (উনি নরমালি হুংকার দিয়েই কথা বলতেন), “এটা কার জন্য”।

এই বলে রক্তিম দিশার সামনে থেকে অনেক কষ্টে উঠলো দিশাকে বুঝতে না দিয়ে। তারপর সামনের দিকে এগুতে লাগলো। কিন্তু সামনে যেতে যেতে হঠাৎ করে আবার মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে । এক সময় সেখানে মাথা ঘুরে পড়ে যায়।

এরপর ম্যাসেজের পাশাপাশি লুকিয়ে লুকিয়ে ফোন করাও শুরু হয়, তবে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা নয়, হাঁতে গোণা কয়েক মিনিট। হ্যাঁ এতেই শান্তি, অন্তত প্রিয়জনের গলার আওয়াজটা শুনে কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। আবার কোনো কোনো দিন এমনও হয়েছে, যে একবারও কথা হয়নি। কি ভেবেছেন সে মুখ-গোমড়া করবে, উঁহু সে, রাগ করার পাত্র নয়। যে আমার জন্য অতগুলি দিন আমার পেছনে ঘুরেছে, সে আমার উপড়ে এই সামান্য বিষয়ে রাগ করবে, তা কি কখনো হয়?  

স্কুলে কি কি পড়েছিলাম তা আজ সবটা মনে না থাকলেও স্কুল লাইফের কাটানো সেরা মুহূর্ত গুলো আজও স্মৃতির পাতায় তাজা।

আজকের গল্পটি একটি স্কুল জীবনের প্রেমের গল্প। একজন রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে, যে কোনো দিনও ভাবতে পাড়েনি, সে সম্পর্কে জড়াবে, কিভাবে ধীরে ধীরে সে সম্পর্কে জড়ালো, কিভাবেই বা তার সম্পর্ক পরিপূর্ণতা পেল, তা নিয়েই আজকের গল্পটি। যদিও গল্প প্রেরক তার নাম ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক, আমাদের কাছে তার নাম রাখী আক্তার নামেই লিপিবদ্ধ হয়েছে।

আপন কে আবার

“স্কুলের দিন গুলিতে শেখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কি?

ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর দিন বাসায় সকালে বন্ধু মাসুদ এসেছিল। তার সাথে দেখা হয় দরজার সামনে। সে চিঠিসহ গোলাপের তোড়া দেয় আমায় গত বছর। স্কুল বন্ধ থাকায় মিসু সরাসরি আমায় দিতে পারেনি। বাবা-ভাইদের ভয়ে সে বাসায় আসেনি। তাই বন্ধু মাসুদের মাধ্যমে চিঠি আর গোলাপ পাঠায়। অবাক হয়ে চিঠিটি পড়ে দেখলাম এটা তার ভালোবাসা পাঠিয়েছে।

ফোন টিপার click here অপরাধে রোজ একবার হলেও । সীমিত আকারে মায়ের মুখে গালাগালি খাওয়া আমি!

“ধুর বোকা এটা আবার কি রকমের প্রশ্ন!” এই বলে মাম গৌরবের কাঁধে মাথাটা রেখে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে হাসতে শুরু করলো ।

আজ মনে হচ্ছে স্কুলের সেই চার দেওয়ালের গন্ডিটা ছোট হলেও তার মধ্যেই ছিল জীবনের সমস্ত সুখ।

এদিকে রক্তিম তো তখনও নির্বাক দর্শকদের মতো দারিয়ে গালে হাত দিয়ে দারিয়ে আছে। সে ভাবতেই পারছে না যে আসলে ওর সাথে কিছুক্ষণ আগে ঠিক কি ঘটলো।

খুনসুটির মাঝখানে প্রিয় মানুষের আভা খোঁজা, 

দিশা বান্ধবীদের সাথে বাসে করে সবাই একসাথে পিক নিকে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বাসটা থেকে যায়। ফলে সবাই অনেকটা ধাক্কা খাবার মতো অবস্থা হয়ে যায়। বাসটাকেনো থেমে গেলো তা দেখার জন্য দিশা যখন বাস থেকে নামতে যাবে ঠিক সেই সময় বাসের ড্রাইভার ওকে নামতে মানা করে কিন্তু দিশা তারপরেরও ড্রাইভারের কথা অমান্য করে বাস থেকে নেমে পরে। আর বাস থেকে নামার সাথে সাথে “ঠাসসসস”। সাথে সাথে দিশার মাথাটা গিয়ে বাসের সাথে ধাক্কা লাগে ফলে সেখানে সাথে সাথেই ওর মাথা ফেটে রক্ত ফের হতে থাকে। এবং সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তবে জ্ঞান হারানোর কিছুক্ষণ আগে সে আবছা চক্ষে তাকিয়ে দেখে যে একটা ছেলে হাতে বড় হকি স্টিক নিয়ে ওর দিকে দৌড়ে আসছে। তবে ছেলেটা আর কেউ না সেটা হলো রক্তিম। সে দৌড়ে দিশার কাছে যায় এবং ওকে তারা-তারি করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে যখন দিশার জ্ঞান ফেরে তখন সে ওর কাছে স্যরি বলতে গেলে দিশা রক্তিমকে নানান কথা শুনিয়ে অনেক অপমান করে। ফলে রক্তিম সেদিন আর ওকে স্যরি বলতে পারেনা।

Report this page